অনুবাদ: খন্দকার নাজনীন সুলতানা
সূত্র: মাফকারাট আল-ইসলাম (বাগদাদের একটি আরবী নিউজ এজেন্সি)
আনুমানিক রাত ১২টা ২৫ মিনিট, ডিসেম্বর ২১, ২০০৪, শনিবার, মুজাহিদীন কর্মচারীরা দক্ষিণ বাগদাদের আবু গারীব কারাগারে অকস্মাৎ এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। হামলাটি সংঘটিত হয়েছিল ফাতেমা নামের একজন মহিলা কয়েদির একটি চিঠির জন্য, যা মুসলিম যোদ্ধাদের মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
পতিতার জনপ্রিয়তায়,
দূঃখ পাবার কোন কারণই নেই।
কারণ- তারা পতিতা।
আশে-পাশের সব খদ্দেরদের
খুশি করবে-এটাই তাদের পেশা,
-এটাই তাদের নেশা,
পরকালে তাদের প্রাপ্তি শূন্য।
আমি জানিনা গদ্য, জানিনা পদ্য,
জানিনা কবিতা সাহিত্য,
শুধু যে জানি আমি
- হৃদয় দিয়ে হৃদয় ভালোবাসতে।
ভালোবাসি- শুভ্র, সুন্দর হৃদয়কে
ভালোবাসি- সাদা-মাটা, সহজ সরল জীবনকে
চাহিদা সীমিত,
তাই, না পাবার ব্যাথায়, পিড়ীত হই না।
আশা সুদূর প্রসারিত,
তবু আশা ভাঙলে মুষড়ে পড়িনা।
জীবনের বন্ধুরতাকেও - স্বাগতম জানাই বারবার।
By: Khandaker Nazneen Sultana
ইসমাঈল (আঃ) এর পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও মাতা হাজেরা (রাঃ)। জন্মের কিছুদিন পর আল্লাহর আদেশে হযরত ইব্রাহীম (আঃ), বিবি হাজেরা (রাঃ) ও শিশু পুত্র ইসমাঈল (আঃ) কে মক্কা নগরীর বাক্কা নামক স্থানে রেখে এলেন। বিবি হাজেরা (রাঃ) শিশু ইসমাঈল (আঃ) কে নিয়ে একটি গাছের নীচে আশ্রয় গ্রহন করলেন। তখন সেই এলাকায় কোন মানুষ ছিল না। পানিরও কোন ব্যবস্থা ছিল না। তাঁদের সাথে ছিল একটি থলিতে কিছু খুরমা খেজুর আর একটি মোশকে কিছু পানি।
By Khandaker Nazneen Sultana
"নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের সন্তানদেরকে জ্ঞানদান করো, কেননা তারা তোমাদের পরবর্তী যুগের জন্য সৃষ্ট।" আর সর্বাগ্রে মা’ই পারে এ দায়িত্ব পালন করে সন্তানকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। কারণ, মা’ই সন্তানের সবচেয়ে কাছের। সন্তানের সাথে মায়ের নাড়ীর সম্পর্ক। মায়ের কোলে বসে ও মায়ের সান্নিধ্যে অতি অল্প সময়ে সন্তান যা শিখতে পারে মায়ের সান্নিধ্যের বাইরে তা আয়ত্ত্ব করা সন্তানের জন্য দীর্ঘদিনেও অনেকক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠে না।
লেখক ঃ খন্দকার নাজনীন সুলতানা
'আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু'। আপনার উপর আল্লাহর অশেষ রহমত বর্ষিত হোক। আপনি সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট, বালা-মসিবত, বিপদাপদ হতে নিরাপদ ও শান্তিতে থাকুন।' কি অপূর্ব সুন্দরতম, হৃদয় প্রশান্তিকর এই দোয়া। প্রতিটি মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ বা আলাপচারিতার প্রারম্ভেই এরূপ সালাম দেয়ার নিয়ম।এটাই ইসলামের বিধান।
বইয়ের নামঃ ফী ত্বলাবুল জান্নাত (জান্নাতের খোঁজে)
লেখক ঃ খন্দকার নাজনীন সুলতানা
বিয়ের মাধ্যমেই একটি ছেলে ও মেয়ের সাংসারিক বন্ধনের সূত্রপাত। বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেরা মেয়েদের হরেক রকম গুনের খোঁজ করে। ভাবে রুপে ক্লিওপেট্রা, গুনে লক্ষ্মী, বিদ্যার স্বরস্বতী- এমন কনে যদি পাই, তবেই বিয়ে করি। তাকি আর সম্ভব?
মুখোশ পরে ঘুরছে মানুষ,
এদিক সেদিক সব।
ভান করছে কভূ সুখের
মনে দূঃখের শব।
’এই বলছি শোনো লোপা,
বেশতো বাঁধো খোপা।
এলিয়ে যাওয়া খোপায়,
বুঝি সাজিয়েছ-বুনো ফুলের সজ্জায়।
তোমায় তাইতো ভালোবাসি,
বারে বারে এত কাছে আসি।’
শান্ত মেয়ে লবঙ্গ,
শরম ভরা অঙ্গ।
সাজেনাতো সঙ,
জানেনাতো ঠঙ।
নজরুলের মত বলতে পারিনা
’হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান।’
কারন-দারিদ্রতায় আজ মোরা,
চোর, ডাকাত, খুনি,
হাইজ্যাকার, ভিক্ষুক অথবা পতিতা।
স্বপ্নে ঘেরা সোনার রাজ্য,
আমি এক সুলতানা।
কাটছে সুখে দিবা-রাত্রি
মিথ্যা সকল মানা।
নদী-ভাঙ্গা গ্রামের বাড়ী,
ডাকতো সবাই মিতা।
নাম পেয়েছি ম্যাডাম জুলি,
আমি এখন পতিতা।
লেখক ঃ খন্দকার নাজনীন সুলতানা
১. রোজা ও স্বল্প আহারেই দেহ-মন সুস্থ/ রোজা দেহ ও মনের সুস্থতার নিয়ামক
হুযুরে পাক (সাঃ) বলেচেন, ‘অল্প হাস্য এবং অল্প আহার করে হৃদয়কে সজীব কর এবং ক্ষুধা দ্বারা তাকে পবিত্র কর। যে ব্যক্তি উদরকে ক্ষুধিত রাখে, তার চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি হয় এবং হৃদয় প্রখর ও সতেজ হয়।’
না হারিলাম, না জিতিলাম,
না পাইলাম তারে।
না হাসিলাম, না কাঁদিলাম
তবু দূঃখ প্রাণ ভরে।
লেখক ঃ খন্দকার নাজনীন সুলতানা
লজ্জাই নারীর ভূষণ।যে নারী যত বেশী পর্দায় থাকবে তার মর্যাদাও তত বেশী।উলঙ্গ নারী মূল্যহীন। ইদানিং উঠতি বয়সের মেয়েদের দিয়ে নাটক, সিনেমা বানানোর কৌশলে মেয়েদের করা হচ্ছে পর্দাহীন। ফ্যশন শো, মডেলিং, সুন্দরী প্রতিযোগিতা- এসবের আয়োজনের মাধ্যমে প্রায় উলঙ্গভাবে নারীকে প্রদর্শনী করে মূলত তাদের বানানো হচ্ছে পণ্য।
লেখক ঃ খন্দকার নাজনীন সুলতানা
নারী, তুমি সৃষ্ঠির শ্রেষ্ঠ, অবনীর নীর, যেন গোলাপে গঠিত ভিতর ও বাহির। কত যতœ করে অপূর্ব সুন্দর রুপে অনুপম গুনাবলীতে আল্লাহ নারীকে সৃিষ্ট করেছেন পুরুষের সঙ্গীরুপে। নেককার নারী পরিবার, দেশ-জাতি তর্থ সমগ্র বিশ্বের জন্যই অমূল্য সম্পদ ।
লেখক ঃ খন্দকার নাজনীন সুলতানা
ইসলাম পূর্ব জাহেলী যুগে নারীদেরকে সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীবের ন্যায় মূল্যায়ন করা হতো। নারী যেন গৃহস্থালী আসবাবপত্র। অন্যান্য পন্যদ্রব্যের মতো নারীদেরও ক্রয় বিক্রয় করা হতো। বিয়ে-সাদীতে নারীর কোন মতামত গ্রহণ করা হতো না। আতœীয়-স্বজনের সম্পত্তিতে নারীদের কোন অধিকার ছিল না। ক্ষেত্র বিশেষে নারীরা স্বয়ংই মীরাসের মালের ন্যায় বন্টিত হতো।
শিশু বেলায় হারিয়ে যাই,
আমার অনেক কষ্ট।
পাচারকারীর খপ্পরেতে,
সুখের জীবন নষ্ট।
স্বর্গ হতে দেবদূত
আমায় এসে কয়।
কাঁদছো কেন বান্দা প্রিয়,
তোমার কিসের ভয়।
বেহেস্ত যাবো, বেহেস্ত যাবো,
মায়ের সেবা করবো।
মিথ্যা ভুলে, আজ হতেই
সত্য পথে চলবো।
কোটি কোটি সন্তানেরা,
হেসে হেসে কয়।
মা’ মনিগো বেহেস্ত যাবো
দোযখ ভালো নয়।
হলদে ফুলের লুকোচুরী,
নীল ভোমরার সনে।
প্রজাপতি গান গেয়ে যায়,
গোলাপ কলির কানে।
না হারিলাম, না জিতিলাম,
না পাইলাম তারে।
না হাসিলাম, না কাঁদিলাম
তবু দূঃখ প্রাণ ভরে।
গোলাপী রঙ মেম পুতুলি,
নামটি যে তার মিথি।
চিকচিকে তার সোনালী চুল,
মাথায় চিকন সিথি।
ব্যাক্তি প্রচন্ড ঘৃনাভরে ফেললো
একদলা থুতু।
কীতের সকালে, মুক্তো ভেবে
ভ্রম হলো -এক শিল্পীর।