নদী-ভাঙ্গা গ্রামের বাড়ী,
ডাকতো সবাই মিতা।
নাম পেয়েছি ম্যাডাম জুলি,
আমি এখন পতিতা।
থাইল্যান্ডের হোটেল, ক্যাফে
সবাই আমায় চেনে।
মনের মতো মূল্য দিয়ে,
ঘন্টা মাফিক কেনে।
হাইহিল আর ছোট্ট জামায়
লাগছে আমায় বেশ।
নামাজ-রোজা গোল্লায় গেছে,
নষ্টামির নেই শেষ।
এ হাত ঘুরে, ও হাত ঘুরে,
এখন আমি পন্য।
নিত্য নতুন খদ্দের আসে,
জীবন তাদের জন্য।
দূঃখ সকল চেপে রাখি,
হাসি হাসি মুখে।
খদ্দেরদের খুশী করি,
কান্না ভরা বুকে।
পেটের ক্ষুধায় স্বদেশ ছেড়ে,
কাজ করতে আসি।
মিছে বিশ্বাস ঠকে ঠকে,
কান্ন্া রাশি রাশি।
নষ্ঠ মেয়ের দুঃখ কথা,
শুনবে কে বা বলো।
অতি আপন ছিল যারা,
কে’বা কোথায় রইলো।
রঙ বেরঙের নতুন সাজে,
নিত্য সাজি আমি।
নরক হতে ছুটবো কবে,
জানে অন্তর্যামী।
জীবন আমার শুদ্ধ ছিল,
ছিল পবিত্রতা।
আজ রক্ত ঝড়ে কান্না হয়ে,
বাঁচার আকুলতা।
হাত-পা খোলা, তবু আমার,
নেইকো স্বাধীনতা।
পান হতে চুন খসলে,
আর এক নাশকতা।
----------------------
নাজনীন পায়েল
১২-০৪-২০১৩
টাংগাইলে পতিতাপল্লী আছে আমার জানা ছিল না। আমি যখন জানলাম তখন বলতে গেলে পৃথিবীর কারও অজানা কিছু ছিলনা কান্দাপাড়া সম্পরকে...নতুন কিছু যদি তারা জেনে থাকে তা হোল...।আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনাই একসাথে পতিতাপল্লীতে গিয়েছি!
ReplyDeleteআপনার বিভিন্ন পোস্ট থেকে মনে হচ্ছে পতিতাদের সম্পর্কে আপনার ধারনা কিছুটা বদলেছে বটে! কান্দাপাড়া থেকে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তাতে করে অজ্ঞাতসারেও আমি নারী জাতিকে ঘৃণা করতে পারিনা।
আপনি 'পতিতাবৃত্তিতে' পুরুষের ভুমিকা কিভাবে দেখছেন?
মুজিবুল
risebangladesh@gmail.com