It is now

Wednesday, March 27, 2013

৫. রাতটা একান্তই তোমার





রাতটা একান্তই তোমার
তোমার রাতের পৃথিবীতে-
আমার প্রবেশাধিকার -একেবারেই নিষিদ্ধ।


তবু ভুল করে ঢুকতে যেয়ে,
বার বার রক্তাক্ত হয়ে যাই।
হৃৎপিন্ডটা ছিদ্র হয়ে রক্ত ঝরে।
রক্ত ঝরে - চোখে, নাকে, মুখে,
রক্ত ঝরে - সমগ্র শরীরের সূক্ষ সূক্ষ
গ্র›িহ গুলো দিয়ে।

 








তুমি তা বুঝবে না,
তোমার শোনা, বোঝা বা অনুধাবন,
-একেবারেই বারণ, নিষিদ্ধ।
তুমি রাত জাগা পাখি,
রাতের রাজ্যে বিচরণ কর - আপন মনে।
রাতটা একান্তই তোমার।

আমি রাতের আকাশ থেকে
একটি একটি করে তারা নিয়ে,
স্বপ্নের মালা গাঁথি।
তারপর তা দিয়ে সাজাই,
জ্যোৎস্নার মায়াবী রাত।

নিঝুম, নিঃস্তব্দ,শান্ত রাত,
নেই কোন কোলাহল,
মাঝে মাঝে ঝিঁঝিঁর ডাক।
ঝিঁঝিঁর আলোগুলো -
জ্বলে আর নেভে, নেভে আর জ্বলে।
যেন, বিয়ের সজ্জায় - সজ্জিত পৃথিবী।

পেয়ারার পাতাগুলো
বাতাসে দোল খায়,
দুলে দুলে কত কথা কয়,
কত কথা কয়!
কিশোরী-চঞ্চলা বালিকা যেন।

রাতটা একান্তই তোমার
স্বপ্নঘেরা রাতের পৃথিবীতে -
অধমের প্রবেশাধিকার
--একেবারেই নিষিদ্ধ, অনুচিত।
ভয় পেওনা প্রিয়,
আর ঢুকতে চাইবো না।

---
আমি আমার -
আকাশ, বাতাস আর প্রকৃতিতে,
আপন বাসা গড়ি।
সজতনে একটু একটু করে,
স্বপ্নগুলো বাতাসে ওড়াই।
তারপর গভীর নিঃস্তব্দতায়-
মুক্তো হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি,
-- ঝিনুকের বুকে।

রাতটা-একান্তই তোমার!
---------------------------


নাজনীন পায়েল
২৫-০৩-১৩
রাত: ০১:৪০



No comments:

Post a Comment